ব্যবসা সহজীকরণের জন্য এ পরিদপ্তর অদ্যাবধি নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ২১,৬০৮টি প্রতিষ্ঠান, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত টি প্রতিষ্ঠান ১,১৭,৩৪৪ টি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে এ পরিদপ্তরের সকল সেবা প্রদান অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদিত হচ্ছে। অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৮০৯টি পাবলিক কোম্পানি, ১০৬৯৪২টি প্রাইভেট কোম্পানি, ৪২২টি ফরেন/লিয়াঁজো কোম্পানি, ১৪৭৮৬টি পার্টনারশীপ ফার্ম, ৪২০টি ট্রেড অর্গানাইজেশন এবং ৬৪৯২টি সোসাইটি নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে।
কাউন্টারে উপস্থিত হয়ে ফি প্রদানের অসুবিধা দূরীভূত করে অনলাইন ব্যাংকিং ও ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের এর মাধ্যমে ফি প্রদানের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এছাড়া নগদ ও বিকাশ (মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস) এর মাধ্যমে ফি প্রদানের ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ পরিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত সেবার ফি কমানো হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ১০ লক্ষ টাকার অনুমোদিত মূলধন বিশিষ্ট প্রস্তাবিত কোম্পানির নিবন্ধন ফি মওকুফ করা হয়েছে।
কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ সংশোধনের মাধ্যমে কোম্পানি সিলের প্রয়োজনীয়তা রহিত করা হয়েছে।
কোম্পানির ৫% শেয়ার হোল্ডারগণ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় এজেন্ডা প্রদান করতে পারবেন মর্মে “কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন,২০২০” মহান জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে।
এক ব্যক্তি কোম্পানি আইন মহান জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এক ব্যক্তি কোম্পানির অন্যতম সুবিধা হল এতে সুযোগ বেশি কিন্তু দায়বদ্ধতা সীমাবদ্ধ কারণ এক ব্যক্তি কোম্পানির দায় যেহেতু ব্যাক্তির শেয়ারের অংশের মূল্যের পরিমাণে সীমাবদ্ধ সেহেতু সে তার ব্যক্তিগত সম্পদকে প্রভাবিত বা ক্ষতিগ্রস্থ না করে আরও বেশী ঝুঁকি নিতে পারে।
‘Starting a Business’ সহজ করার জন্য বিডা, বেজা, হাইটেক পার্ক এর ওএসএস ‘র সাথে এ পরিদপ্তরের অনলাইন সিস্টেমকে সংযুক্ত করা হয়েছে, বেপজা এর ওএসএস ‘র সাথে সংযুক্ত হওয়ার কাজ চলমান রয়েছে।
তথ্য বিনিময়ের জন্য এনবিআর‘র ই-টিন সিস্টেমের সাথে এ পরিদপ্তরের অনলাইন সিস্টেমকে সংযুক্ত করা হয়েছে, এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, সিকিউরিটি একচেঞ্জ কমিশন ও এনআইডি যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সিস্টেমের সাথে সংযুক্তির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিবন্ধনোত্তর কার্যক্রমে হার্ডকপি জমা দেওয়া, শেয়ার ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে অফিসে উপস্থিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা দূর করা সহ সকল কার্যক্রমে integrity, authenticity ও security’র জন্য ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রচলনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে হার্ড কপি দাখিলের প্রয়োজন হবে না, অফিসে স্ব-শরীরে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন হবে না।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ডিজিটাল স্বাক্ষরিত সার্টিফাইড কপি প্রদান করা হচ্ছে।
নামের ছাড়পত্র, নিবন্ধন ও ফি প্রদান এই তিনটি ধাপকে একটি ধাপে উন্নীত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা USAID এর প্রজেক্ট FEED THE FUTURE(BITBEE) এর সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য আরজেএসসি’র রেজিস্ট্রেশন প্রসেসকে world standard good practices এ আনয়ন।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মর্টগেজ/চার্জ নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নিবন্ধিত কোম্পানির নামের পরিবর্তনের সার্টিফিকেট প্রদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।