ইতিহাস
ভারত বিভাজনের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর স্থাপিত হয়। তখন ভারতের কলকাতা থেকে প্রাপ্ত কোম্পানি, পেশাদার সংগঠন ও অংশীদারী কারবারের কিছু নথিপত্র নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬২ সালে এর কার্যালয় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।বর্তমানে আরজেএসসি’র অধীনে ২ লক্ষ ৮৮ হাজার চারশত ছেষট্টি টি প্রতিষ্ঠান (ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত) নিবন্ধিত রয়েছে।
যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক (আরজেএসসি) হল বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র অফিস যা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোম্পানি ও অন্যন্য প্রতিষ্ঠান গঠনের সুবিধা প্রদান করে এবং এর মালিকানা সম্পর্কিত সকল নথিপত্র সংরক্ষণ করে।
নিবন্ধক হলেন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা।
আরজেএসসি নিম্নোক্ত ধরনের প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করেঃ
(ক) পাবলিক কোম্পানি
(খ) প্রাইভেট কোম্পানি
(গ) বিদেশি কোম্পানি
(ঘ) ট্রেড অরগানাইজেশন (বাণিজ্য সংগঠন)
(ঙ) সোসাইটি (সমিতি), এবং
(চ) পার্টনারশিপ ফার্ম (অংশীদারী কারবার)
(ছ)এক ব্যক্তি কোম্পানি (ওপিসি)
আরজেএসসি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন প্রদান করে এবং প্রযোজ্য আইনের বিধি মোতাবেক পরিচালনা নিশ্চিত করে। প্রযোজ্য আইনসমূহ নিন্মরুপঃ
(ক) কোম্পানি ও বাণিজ্য সংগঠনঃ কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (কোম্পানি আইন, ১৯১৩ এর সংশোধনী)
(খ) সোসাইটিঃ সোসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০
(গ) অংশীদারী কারবারঃ অংশীদারী কারবার আইন, ১৯৩২।